BJC Media Park

BJC Media Park

বিজেসি মিডিয়া পার্ক ও আবাসন প্রকল্প


গল্প যেভাবে শুরু

সকল পেশাজিবীর নিজেদের আবাসন প্রকল্প আছে; সেটি তাদের মনোবল আস্থা বাড়ায়; নিরাপত্তা দেয়। সাংবাদিকের নেই! যা আছে; সেটি এখনও সাংবাদিকের মননশীল জীবন যাপনের জন্য সংগতিপূর্ণ নয়! তার ওপর; ফ্ল্যাট বা বাড়ি সংগতি অনুযায়ী যাই তৈরী করি প্রধান দরজা দিয়ে বের হবার পর ধুলাধুসরিত সেই একই শহর- যেখানে প্রতি পদে একটু নি:শ্বাস নিতে লড়াই করে যেতে হয়! ঢাকার একটি দুটি এলাকা ছাড়া কোথাও জীবনের সব আয়োজন একসংগে কাছাকাছি নেই- দুরে প্রিয় কফি শপ; বহুদুরে স্কুল; নির্ভরতার হাসপাতাল, স্কুল, খেলার মাঠ, দৌড়ানোর ট্র্যাক প্রায় সবই নাগালের বাইরে!


ভাবনা

এইসব আয়োজন তো একসংগে একটি আবাসিক প্রকল্পে অনেকেই করেছে- আমরা আরেকটু বাড়িয়ে নিজেদের জন্য একটা পার্ক বানিয়ে নিলে কেমন হয় ! তারপর সেই পার্কের চারদিক ঘিরে থাকল নিজেদের বাড়ি ফ্ল্যাট ? সুন্দর কোন জায়গায় ঘুরতে গিয়ে যেমন বলি- এইখানে নিজেদের বাড়ি হলে কেমন হত! তেমন...অবিশ্বাস্য মনে হলেও আমরা এক হলে উদ্যোগ নিলে বিজেসির পক্ষে নিজেদের জন্যে আবাসিক পার্ক; সংগে আবাসন তৈরী করা সম্ভব।


মৌজা হানকুর

এই ভাবনা থেকেই গঠন হলো বিজেসির "মিডিয়া পার্ক বাস্তবায়ন কমিটি"। তারপর শুরু হলো জমি খোঁজা। পূর্বাচলের কাছাকাছি রূপগঞ্জের হানকুর মৌজায় এমন জমি পাওয়াও গেলো, যেখানে একসঙ্গে ৫০ বিঘা কিংবা তার চেয়েও বেশি জমি কেনা সম্ভব। প্রাথমিকভাবে এখানে ৩০ বিঘা জমি কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে জমির বর্তমান দামের কারনেই শুরুতেই লাভে থাকবে প্রকল্প, লাভে থাকব আমরা।


কি হবে সেখানে?

বিজেসি ট্রাস্ট এখানে ৫ বিঘায় গড়ে তুলবে "এশিয়ান ক্রিয়েটিভ মিডিয়া ইন্সটিটিউট"। ১০ বিঘায় হবে ফ্লাওয়ার পার্ক ও রিসোর্ট। আর বাদবাকি ২০ বিঘায় হবে আবাসন। আবাসন কর্মকান্ড শুরুর আগে পুরো ৩০ বিঘাই পার্ক রিসোর্ট হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব।


ভূমি উন্নয়ন ও নির্মাণ

জমি কেনার পর ভুমি উন্নয়ন ও নির্মান কাজে কোন আবাসন কোম্পানীর সাথে চুক্তি হবে; যারা নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ শেষ করবে!


পার্ক-রিসোর্ট দিয়ে শুরু

শুরুতে ৩/৪ বছর পার্ক এবং রিসোর্ট গড়ে তোলা হবে ! যেন পার্ক এর চারপাশ ঘিরে বসবাসের আক্ষরিক পরিবেশ তৈরী হয়; যেন ফ্ল্যাট নির্মান ও বিক্রিতে উৎসাহ পাওয়া যায়। আবার পার্ক/কমিউনিটি সেন্টার/শপিং মল এর আয় আবাসিক প্রকল্পের প্রাথমিক খরচ ও কাজে লাগতে পারে ; অথবা আয় যুক্ত হবে ব্যাক্তি সদস্যের কল্যান ফি হিসেবে বাকি পুরো জীবন, তারপর তার নমিনিরা !


ফ্লাওয়ার পার্ক

পার্ক মানে অনেক কিছুই হতে পারে; আপাতত ফ্লাওয়ার পার্কের কথা ভাবা হচ্ছে ! মূলত অর্কিড! সিংগাপুর জাপানে আছে; বাংলাদেশে নেই! সংগে ছাউনীতে কৃষ্নচুড়া-শিমুল-রাধাচুঁড়ার সড়ক। চারধারের লেকের শাপলা -পদ্ম অথবা সবুজ পাড়...সেখানেই বানিজ্যিকভাবে পরিচালনার জন্য সীমিত আকারে গড়ে উঠবে অর্কিড রিসোর্ট- কিছু থাকার ঘর, সুইমিং পুল, মাঠ। পার্কের ভেতরে চাইলে শ্যুটিং ফ্লোর, কমিউনিটি সেন্টার যোগ করা যায় । সংগে ব্রডকাস্ট সেন্টার । বানিজ্যিক দোকান।


এরপর স্বপ্নের আবাসন

পরিকল্পনা হচ্ছে লেক দিয়ে ভাগ করা পার্কের চারপাশে তৈরী হবে আবাসিক টাওয়ার! একেকটি এমন দুরে যেন প্রতিটি ফ্ল্যাট থেকে পার্কের আলো বাতাস সৌন্দর্য সকলে পায়...। ভাবনাটা এমন; ১০ বিঘা পার্ক এর আয় থেকে বাকি ২০ বিঘায় আবাসিক এর ফ্ল্যাট তৈরীর কাজ শুরু! বাকিটা যৌথ ব্যাংক ফাইন্যান্স এ উঠে যেতে পারে! তবে সেই আবাসন বা ফ্ল্যাট কেমন হবে তার বিস্তারিত স্থপতিদের সংগে চূড়ান্ত করে জানানো হবে। তবে চেষ্টা থাকবে ৫০/৫০ অনুপাতে নিজেদের ফ্ল্যাটটি প্রায় বিনামূল্যে করিয়ে নেয়ার। তবে আমরা নিশ্চিত প্রকল্পের দুই তৃতীয়াংশ এলাকা সবুজ মুক্ত জায়গা হিসেবে রাখা যাবে। পাশপাশি থাকবে সুপরিসর অভ্যন্তরীন রাস্তা, স্কুল, মসজিদ, কমিউনিটি সেন্টার, ক্লাব সুইমিংপুল একাধিক মাঠ।


জমির বন্টন, দুটি করে ফ্ল্যাট

শুরু থেকে ফ্ল্যাটের কথাই ভাবা হচ্ছে ! কারন অত জমি আমরা হয়তো কিনতে পারব না। প্রতিটি ফ্ল্যাট মালিককে ব্লক অনুযায়ী সমান ভাগে জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়া হবে।


প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা পর্ষদ

পুরো আবাসন পার্ক প্রকল্প বাস্তবায়নে আইনগত বা প্রাতিষ্ঠানিক যে প্রক্রিয়া বিজেসি নির্বাহী কমিটি ও ট্রাস্টি বোর্ড সিদ্ধান্ত টেনেছেন তা হল:

০১. প্রথমে বিজেসি ট্রাস্ট এর অধীন "মিডিয়া পার্ক বাস্তবায়ন কমিটি"র ব্যবস্থাপনায় জমি কেনা হবে।

০২. এরপর ২০ বিঘা জমি, ফ্ল্যাট ও কমন স্পেস ৫০০ সদস্যের মধ্যে ব্লক অনুযায়ী সমান ভাগে ভাগ করে রেজিস্ট্রি করে দেয়া হবে।

০৩. ১০ বিঘা পার্ক রিসোর্টের মালিকানা থাকবে বিজেসি ট্রাস্ট এর নামে। পার্ক এর আয়ের ৮০ ভাগ ব্যয় বংশানুক্রমে উপকারভোগি হবেন আবাসন প্রকল্পের ৫০০ সদস্য। এই সদস্যেদর মধ্যে ব্লক অনুযায়ী কমিটি গঠিত হবে! ট্রাস্ট এবং নির্বাচিত কমিটি পার্ক পরিচালনা করবেন । পরিচালনা পর্ষদে ৫১ ভাগ ট্রাস্ট মনোনীত সদস্য ও বাকি ৪৯ ভাগ নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকবেন।

০৪. আবাসিক সদস্যরা নূনতম ব্যাবস্থাপনা ফি দিয়ে বিনামূল্যে পার্ক ব্যবহার করবেন; রিসোর্ট কমিউনিটি সেন্টার রেস্তোরায় হ্রাসকৃত মূল্যে ব্যবহার করবেন!